২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক, ১৪৩২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গত জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ছাত্রদের আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের প্রধান এবং গত ১৬ বছর ক্ষমতা দখল করে থাকা অনির্বাচিত সরকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগ, যেভাবে বিএনপি, জামায়াত সহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা সকল কে, নাশকতা নামধারী মামলা দিয়ে যেভাবে একের পর এক মামলা দিয়ে কারাবন্দী করে রেখে ছিলেন খুনী হাসিনা এবং দেশের পুলিশ সদস্য থেকে শুরু করে পুলিশ প্রধান পর্যন্ত। ঠিক একই দেখানো পথে হাটছে বর্তমান অনির্বাচিত সরকার। সাধারণ জনগণ একটাই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই অনেকেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের সাথে দল করেছে শুধুমাত্র নানাবিধ ঝামেলা থেকে এড়িয়ে থাকার জন্য কিন্তু এই আওয়ামী পন্থীদের দিয়ে কখনো কারোরই কোন প্রকার ক্ষতি হয়নি, এইধরনের আওয়ামী পন্থীরা কখনো কোন অবৈধ সম্পদের পাহাড় তৈরী করেনি। এদের সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের যতগুলো গোয়েন্দা বাহিনী আছে তাদের নিকট অবশ্যই এই ধরনের আওয়ামী পন্থী সদস্যদের তালিকা আছে। অতএব সেই তালিকা অনুযায়ী সেই সকল আওয়ামী পন্থী সদস্যদের তালিকা তৈরী করে অহেতুক নামধারী নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত করে কারাবন্দী করে না রেখে সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে মাফ করে দেওয়া হউক অন্যথায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগ এবং অনির্বাচিত সরকার ও আগত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? বর্তমান অনির্বাচিত সরকার ও আগত রাজনৈতিক দলের নিকট বিনীত আহবান জানানো যাচ্ছে, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের পথে হেটে নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করবেন না। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার ও আগত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের শুধু একটি বিষয় নিশ্চিত করে বলতে চাই, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের মতো একই আচরণ, সাধারণ জনগণ আপনাদের নিকট হতে আশাবাদী নই। পুলিশ প্রধান সহ সকল পুলিশ কে এক কথায় বলে দিতে চাই, আপনারা অবশ্যই সাধারণ জনগণের সেবায় নিযুক্ত থাকুন বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের সময় যা করেছেন এখনো একই পথে না হেটে বরং এবার নিজেদের কে বদলে নিন। আর যদি নিজেদের কে গত ১৬ বছর যেমন গোলামী করার কারণে হাসিনা সরকার পালানোর পরে আপনারাও যেমন পালিয়ে ছিলেন, ঠিক একইরকম অবস্থা দেখার জন্য নিজেদের কে প্রস্তুত করে রাখুন।